বাংলাদেশের হৃদয়ভাঙা হার

0
150
ম্যাচের শুরুটা বাংলাদেশ অবশ্য করেছিল দারুণভাবে। আভিষ্কা ফার্নান্দোকে উইকেটকিপার লিটনের ক্যাচ বানিয়ে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন শরিফুল। সঙ্গে জুড়ে দেন বিশ্বকাপের চরম বিতর্কিত সেই ‘টাইমড আউটের’ দৃশ্যও। সাকিব আল হাসানকে আউটের পর হাতে অদৃশ্য ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ম্যাথুজ যে উদযাপন করেছিলেন তেমনই। পাওয়ার প্লেতে শরিফুলের পর কামিন্দুকে মেন্ডিসকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। দ্রুত উইকেট হারানোর চাপে প্রথম ছয় ওভারে ৪৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
তবে এক প্রান্তে বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরের মতো অদম্য ছিল কুশল মেন্ডিসের ব্যাট। ৫৯ রানের ইনিংসে একবার জীবন পান। সেটা অবশ্য ৫৭ রানের সময়। সৌম্য সরকারের বলে তাঁর ক্যাচ ছাড়েন উইকেটকিপার লিটন। আর ২ রান যোগ করার পর লিটনকে ‘দায়মুক্ত’ করেন রিশাদ হোসেন। তাতে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে মেন্ডিসের ৯৬ রানের জুটিও ভাঙে। মেন্ডিসের ৩৬ বলে ইনিংসটি সাজানো ৬ চার ও ৩ ছক্কায়। তবে ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া হতে থাকে চতুর্থ উইকেটে। সামারাবিক্রমা ও চারিথ আশালাঙ্কা দুই পাশ থেকেই রান তুলেছেন। সামারাবিক্রমা কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও ঝড়ের বেগে রান করেছেন আশালাঙ্কা।

শেষ চার ওভার থেকে দুজনে তুলেছেন ৬৪ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের শেষ ওভার থেকেই ২৪ রান। দুই ছক্কাসহ আশালাঙ্কা নেন ১৪ রান। ২১ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে ছয়টিই ছক্কা মেরেছেন আশালাঙ্কা। মুস্তাফিজের ওই ওভারে এক নো ও বাই রানসহ সামারাবিক্রমা নেন ১০ রান। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে। তাঁর ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ৮ চার ও এক ছক্কায়। ইনিংসের শেষের মতো বাংলাদেশ ম্যাচের শেষটাও করেছে মন খারাপের অগণিত ছবিতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here