হস্তান্তরের আগেই ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে ফাটল

যুক্তিখোলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়

396

রিয়াজ উদ্দিন ।।  লালমাইয়ের যুক্তিখোলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত বহুমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র’র ছাদ ও দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। হস্তান্তরের আগেই ভবনে ফাটল ধরায় জনমনে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের যুক্তিখোলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে ২ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বহুমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র’র দ্বিতল ভবন নিমার্ণ করা হয়। দু’মাস আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাফিজ এন্ড ব্রাদার্স ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করে। কিন্তু জুলাইয়ের শেষের দিকে ভবনের ছাদ ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। ফাটলের বিষয়টি নজরে আসায় স্কুলের শিক্ষকরা লালমাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। এরপরই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাটলে প্রলেপ দিয়ে দেয়।
স্থানীয়দের দাবী, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ফাটলে প্রলেপ দিলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যেতে পারে না। ভবন ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে।

যুক্তিখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহাদাৎ হোসেন বাহার বলেন, ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটলের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এরপরই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাটলে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক রেজাউল হাফিজ রেসিম বলেন, ভবন করলে তাতে ফাটল দেখা দিতেই পারে। এটা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না।
লালমাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নজরুল ইসলাম বলেন, যুক্তিখোলা স্কুলের ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমি সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের বলেছি।