স্টাফ রিপোর্টার ।। করোনা পরিস্থিতিতে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ছোট শরীফপুর ডিগ্রী কলেজের অনলাইনে ভিডিও ক্লাসের মাধ্যমে পাঠদান ব্যাপড় সাড়া ফেলেছে। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীরা কিছুটা অমনোযোগী থাকলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে মনোযোগী হয়েছেন। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে ফেসবুকের দুটি গ্রুপ বেশ সক্রিয় রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনলাইন ক্লাসে নিয়মিত পাঠদান করছেন বাংলায় সহকারী অধ্যাপক সেলিনা আক্তার, রসায়নে সহকারী অধ্যাপক সালাউদ্দিন, ইসলাম শিক্ষায় সহকারী অধ্যাপক আবদুল বারী, ইতিহাসে সহকারী অধ্যাপক শাহজাহান মজুমদার, অর্থনীতিতে সহকারী অধ্যাপক খোরশেদ আলম, ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমায় প্রভাষক মো: শহিদুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞানে প্রভাষক রঞ্জন সাহা, পৌরনীতি ও সুশাসনে প্রভাষক সায়মা চৌধুরী, ইংরেজীতে প্রভাষক এমদাদুল বারী, আইসিটিতে প্রভাষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ব্যবসা সংগঠন ও ব্যবস্থাপনায় প্রভাষক তাছলিমা আক্তার, সমাজকর্মে প্রভাষক ফেরদৌসি সুলতানা, ইসলামের ইতিহাসে প্রভাষক মোরশেদ আলম, সমাজ বিজ্ঞানে প্রভাষক নাছিমা শাহীন, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপননে প্রভাষক রতন কুমার দেবনাথ, উচ্চতর গণিতে প্রভাষক শফিউল আলম, পদার্থবিদ্যায় প্রভাষক আনোয়ার হোসেন, জীববিজ্ঞানে প্রভাষক রাহেলা বেগম ও পরিসংখ্যান প্রভাষক মনির হোসেন।
কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রেজাউল করিম বলেন, করোনার কারনে দীর্ঘদিন ধরে কলেজ বন্ধ রয়েছে। তবে ফেসবুকের মাধ্যমে বাড়ীতে বসেই শিক্ষকদের অনলাইন পাঠদান ফলো করতেছি।
কলেজের অনার্স শাখার ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আমান উল্যাহ জানান, ‘ছোট শরীফপুর ডিগ্রী কলেজ ’ ও ‘ছোট শরীফপুর ডিগ্রী কলেজ প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী পরিষদ’ নামে ফেসবুকে দুটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। গ্রুপ দুটিতে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সদস্য করা হয়েছে। গ্রুপে কলেজের শিক্ষকরা নিয়মিত ভিডিও ক্লাস আপলোড করেন।
কলেজের গর্ভনিং বডির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল মজুমদার শিক্ষকদের অনলাইন ক্লাসের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের শিক্ষকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় থেকেই অনলাইনে পাঠদান করছেন। শিক্ষার্থীরাও অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহন করছেন। তবে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফারুকুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনাক্রমে ছোট শরীফপুর ডিগ্রী কলেজের সকল শিক্ষক অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। কভিড-১৯ চলাকালীন অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সিলেবাস অনুযায়ী পাঠ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত কলেজটির বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পরিবার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় উচ্চ মূল্যে ডাটা ক্রয় করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে সরকার অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডাটা প্যাক সরবরাহ করলে ক্লাসের কার্যকরিতা আরো বাড়বে।