রিয়াজ উদ্দিন।। চলতি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে লালমাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও লালমাই উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদারের গত দুই মাসের সম্মানি ভাতার ৫৪ হাজার টাকা বাগমারা বাজারস্থ অগ্রনী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন তার ব্যক্তিগত সহকারি শিমুল বড়ুয়া। ভাইস চেয়ারম্যানের নির্দেশে উত্তোলনের সাথে সাথেই সেই টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সওদাগরের নিজ এলাকার একটি মসজিদের উন্নয়নের জন্য অনুদান দেওয়া হয়। বাকী ২৪ হাজার টাকায় ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের কাঁছিয়াপুকুরিয়া, বারাইপুর ও পেরুল দক্ষিণের সমেষপুর গ্রামস্থ কর্দমাক্ত কাঁচা সড়ক ইটের সুরকি দিয়ে সংস্কার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মিজানুর রহমান মজুমদার কখনই সম্মানি ভাতার টাকা নিজে উত্তোলন করেননি। তার ব্যক্তিগত সহকারি উত্তোলন করে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সড়ক সংস্কারে ব্যয় করেছেন। গত ৩ বছরে সরকার থেকে প্রাপ্ত সম্মানিভাতার প্রায় ১০লক্ষ টাকা এভাবেই জনকল্যাণে ব্যয় করেছেন আওয়ামীলীগের এই নেতা।
যখন দেশের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কাজ না করে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে, তখনই লালমাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সম্মানি ভাতার টাকাটাও জনকল্যাণে ব্যয় করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
লালমাই উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লালমাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান একজন সৎ রাজনীতিবিদ। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ীও। অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এমপির নির্দেশে তিনি দলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। লালমাইবাসীর কল্যাণে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।