লালমাইয়ে ২মাসের শিশু ও নার্স করোনায় আক্রান্ত

318

জহিরুল ইসলাম জহির।।  কুমিল্লার লালমাইয়ে প্রথমবারের মত লামিয়া আক্তার নামের ২ মাস বয়সী এক শিশু ও ফেরদৌসি বেগম নামের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।  আক্রান্ত শিশুটি উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের কিসমত চলুন্ডা গ্রামের হোটেল কর্মী আমান উল্যাহ’র কন্যা। সিনিয়র স্টাফ নার্স বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালে কর্মরত।  তার বাসা কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থায়।  দুজনেই পারিবারিক আইসোলেশনে রয়েছেন।

শনিবার সকালে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জয়াশীষ রায় ও লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব শিশুটির পরিবারসহ ৩টি পরিবারকে লকডাউন করেন।  এসময় শিশুটির দাদা, দাদি, মা, বাবাসহ পরিবারের ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোর মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়।

গত ৭ মে সকালে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে শিশুটিকে প্রথমে লাকসাম সরকারি হাসপাতাল ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইদিন দুপুরে তাকে লালমাই উপজেলার বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিলে সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌসি বেগম চিকিৎসা সহায়তা করেন এবং হাসপাতালের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করেন।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌসি বেগমের কুমিল্লা দক্ষিণ চর্থার বাসা লকডাউন করা হয়েছে। তার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী, স্বামী ও ২ কন্যার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

নার্স ফেরদৌসি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভোগছেন। অসুস্থতা নিয়েও তিনি নিয়মিত কুমিল্লার টমছমব্রীজ থেকে সিএনজি যোগে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড হয়ে বাগমারায় কর্মস্থলে আসা যাওয়া করতেন। গত ৭ মে দুপুরে বাগমারা হাসপাতালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহের দিন তিনি লাকসামের একটি এ্যাম্বুলেন্সে এবং আগেরদিন একজন সহকর্মীর ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে যাতায়াত করেন।

লালমাই উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম ইয়াছির আরাফাত বলেন, লালমাইয়ে একজন নার্স ও একজন শিশুর করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়েছে। দু’জনের বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে।