স্টাফ রিপোর্টার ।। চলতি শীতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে সব জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এতে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে মাস্ক না পরায় লালমাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে শতাধিক ব্যক্তিকে নগদ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম ও এসিল্যান্ড শারমীন আরার নেতৃত্বে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় পর্যায় মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সব দপ্তরে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিতে গত ২৫শে অক্টোবর সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ৩রা নভেম্বর ফের নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) কাছে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ নির্দেশনায় বলা হয়, আসন্ন শীত মৌসুমে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাব্য এই সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান এবং মাঠ পর্যায়ে সকলের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এদিকে গত ৮ই নভেম্বর মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, মসজিদে সকল মুসল্লির মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করে প্রবেশের জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে মসজিদের মাইকে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি এ বিষয়ে মসজিদের ফটকে ব্যানার প্রদর্শন মসজিদ কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে; হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশের জন্য প্রধান ফটকে ব্যানার প্রদর্শনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপাসনালয় কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে; ‘ নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থানে এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে পোস্টার বা ডিজিটাল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে।