লালমাইয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় উট পাখির মৃত্যু

555

স্টাফ রিপোর্টার  ।।  শখের বশে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় ৩ জোড়া উট পাখি নিয়ে খামার গড়েছিলেন আহসান উল্লাহ। শুরুতেই ২ জোড়া পাখির মৃত্যু হয়। বাকী একজোড়া লালন-পালনে আড়াই বছরে একেকটির ওজন হয় ১২০ কেজি। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে একটি উট পাখি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। শরীরেও জ্বর অনুভূত হয়। স্থানীয় উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে পাখিটির অবস্থা জানিয়ে চিকিৎসার অনুরোধ জানালেও সাড়া দেননি তিনি। অবশেষে চিকিৎসা ছাড়াই মারা পড়লো উট পাখিটি। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার (৯ আগস্ট) রাতে কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বরল গ্রামে। মৃত উট পাখিটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা।

জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর আগে ওই গ্রামের তরুন আহসান উল্লাহ শখের বসে পরীক্ষা মূলক ভাবে ৩ জোড়া উট পাখি ক্রয় করে খামার শুরু করেন। প্রথম বছরেই দুই জোড়া পাখি মারা যায়। এদিকে বেঁচে থাকা এক জোড়া ধীরে ধীরে বড় হয়ে ডিম পাড়ার উপযুক্ত হয়। কিন্তু হটাৎ গত শুক্রবার থেকে একটি উট পাখির শরীরে জ্বর অনুভব হয় একই সাথে সেটি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। খামার মালিক আহসান উল্লাহ উট পাখিটির চিকিৎসার জন্য স্থানীয় লালমাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে চিকিৎসার অনুরোধ জানালেও তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে পাখিটিকে দেখতে আসেননি। এক পর্যায়ে পাখিটি চরম অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা ছাড়াই রোববার রাতে মারা যায়।
আহসান উল্লাহ জানান, ২০১৭ সালে ইউটিউব চ্যানেলে উট পাখি পালনের দৃশ্য দেখে আমি তা পালনে উৎসাহী হই। এপর নিজ বাড়ীতে ৩ জোড়া উট পাখি দিয়ে খামার শুরু করি। এটা সফল হলে আমি খামার বড় করার পরিকল্পনা ছিল। বর্তমানে পুঁজি হারিয়ে হতাশায় ভূগছি।

লালমাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান উট পাখিটির চিকিৎসার অবহেলার বিষয়ে জানান, উট পাখির মালিক আমাকে মুঠেফোনে বিষয়টি জানিয়েছিল কিন্তু সাপ্তাহিক বন্ধ এবং সরকারী কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারিনি। তবে পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে ডাক্তার পাঠিয়েছিলাম।