জহিরুল ইসলাম জহির ।। দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমে বেড়েই চলছে। কুমিল্লা জেলাও এ সংক্রমণ থেকে পিছিয়ে নেই। সীমান্তবর্তী উপজেলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ১৪ এপ্রিল ১জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এই কঠিন বাস্তবতায় লালমাই উপজেলাবাসীকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে যুদ্ধে নেমেছে ৪৫ সদস্যের লালমাই থানা পুলিশ। ওসি মোহাম্মদ আইয়ুবের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিতে রেখে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে দিন রাত সক্রিয় রয়েছেন। গত ৮ মার্চ থেকে উপজেলার মোট ৪৮২জন প্রবাসীর বাড়ী বাড়ী গিয়ে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্যসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও মানুষকে ঘরে ফেরাতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মত। মাননীয় অর্থমন্ত্রী, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে পুলিশের ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
জেলা প্রশাসন ১০ এপ্রিল থেকে কুমিল্লাকে লক ডাউন ঘোষনা করলেও লালমাইয়ে মূলত ৮ এপ্রিল থেকেই লক ডাউন চলছে। লক ডাউনে এই উপজেলার কোন মানুষ কে অন্য উপজেলায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না, অন্য উপজেলার কাউকে এই উপজেলায় আসতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের এই প্রবেশ প্রস্থান ঠেকাতে থানা পুলিশের ৮টি টিম দুই শিফটে প্রতিদিন ৪টি চেক পোস্ট বসিয়েছে। কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কের লালমাই দক্ষিণ বাজারে ১টি, ফয়েজগঞ্জ দক্ষিণ বাজারে ১টি, কুমিল্লা-বাঙ্গড্ডা সড়কের যুক্তিখোলা বাজারে ১টি ও লাকসাম-কাশীনগর সড়কের জামুয়া পূর্ব বাজারে ১টি চেক পোস্ট কাজ করছে।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, জনবল সংকট থাকলেও কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার জনাব সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম স্যারের দিক নির্দেশনায় এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব প্রশান্ত পাল স্যারের তদারকিতে করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এই যুদ্ধে আমরা সফল হবো।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম ইয়াসির আরাফাত বলেন, লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ আইয়ুব একজন সৎ, কর্মঠ ও মানবিক পুলিশ অফিসার। দেশব্যাপী চলমান করোনা যুদ্ধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা এবং বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।