লালমাইয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির বাড়ী ৫দিন ধরে লকডাউন

294

জহিরুল ইসলাম জহির ।। কুমিল্লার লালমাইয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত এক ব্যক্তির পরিবারসহ ওই বাড়ীর ৪টি পরিবার ৫দিন ধরে লক ডাউনে রয়েছে। রিপোর্ট আসতে বিলম্ব হওয়ায় করোনা আতংক বিরাজ করছে ওই পরিবারসহ স্থানীয়দের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮টায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যান উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের সুভাস চন্দ্র দাস (৬৫)। খবর পেয়ে ওইদিন সকাল ১০টায় লালমাই উপজেলা প্রশাসন বাড়ীটি লক ডাউন করে দেন এবং মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করেন। মৃত্যুর আগে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসক, দুইজন নার্সিং অফিসার, একজন স্বাস্থ্য সহকারী এবং তার সৎকারে জড়িত ৪জন স্বেচ্ছাসেবক ২৫এপ্রিল থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। লালমাই থানা পুলিশের একটি টিমও লক ডাউনে থাকা বাড়ীটির সামনে নিয়মিত ডিউটি করছেন এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪টি পরিবারে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা সন্দেহে লালমাই উপজেলার মোট ২৮জন ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে ১৯ এপ্রিলের আগে নমুনা সংগ্রহ করা ৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। রিপোর্ট না আসা বাকী ২১ জনের পরিবার রয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। এদের মধ্যে লাকসামে করোনা সনাক্ত হওয়া মসজিদের মুয়াজ্জিন এনায়েতের রুমমিট লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের ইয়াছিনের পরিবারও রয়েছেন।

লালমাই উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম ইয়াসির আরফাত বলেন, লালমাইয়ে ২৮জনের মধ্যে ৭ জনের রিপোর্ট পেয়েছি। এখন পর্যন্ত কারও করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি। করোনা ভাইরাস থেকে নিজে বাঁচতে ও অন্যদের বাঁচাতে সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি।