স্টাফ রিপোর্টার ।। লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারের ভুঁইয়া শফিং সেন্টার ও অমিত ক্লথ স্টোরের মালিক সাজেদুল হক ভুঁইয়া কয়েকদিন ধরে করোনা উপসর্গ নিয়ে বাগমারাস্থ নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। সন্তানেরা তার চিকিৎসার সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দু’দিন ধরে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেও হাসপাতালে করোনার নমুনা দিতে পারছিলেন না। তবে করোনা ভেবেই তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এরপরও কিছু লোক করোনা পরিবার হিসেবে তাদের নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা শুরু করে।
বিষয়টি নিয়ে অসুস্থ ব্যবসায়ী সাজেদুল হকের ছোট ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার অমিত ভুঁইয়া নিজের ফেসবুক আইডিতে ২৮ জুন বিকাল ৩.২৪টায় একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন কীট সংকটের কারনে তিনি বাবার নমুনা পরীক্ষা করাতে পারছিলেন না। বিষয়টি স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসটি নজরে আসায় সোমবার সকালে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব অসুস্থ ব্যবসায়ীর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জয়াশীষ রায়ের সাথে কথা বলে সাজেদুল হকের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করেন।
ব্যবসায়ীর ছেলে ইফতেখার অমিত ভুঁইয়া বলেন, দুই দিন ধরে বাবার নমুনা দিতে পারছিলাম না। ওসি স্যারের উদ্যোগে সোমবার সকালে আমার বাবার নমুনা সংগ্রহ করেছে বাগমারা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা। স্যারের কাছে আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ।
ওসি’র এমন মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করে লালমাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: কামাল হোসেন বলেন, মহামারী করোনাকালে ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব এর মত বাংলাদেশ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরাও আইন শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি মানবিক কাজও করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য মহামারী করোনার প্রার্দুভাবের শুরু থেকেই লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব নিজের বেতনের টাকায় প্রবাসীসহ অনেক হতদরিদ্র পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।