রোগীর পেটে গজ রেখেই সেলাই, দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

বরুড়া ফেয়ার হেলথ্ হসপিটাল

306
বরুড়া প্রতিনিধি  ।।   বরুড়ার ফেয়ার হসপিটালে পেটে গজ রেখেই রোগীর পেটের সেলাই করার অভিযোগে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার বিবরণ সূত্রে  জানা যায়, গত ১২ই এপ্রিল রাতে বরুড়ার পৌর এলাকার বরুড়া সদরের কাশেম সফিউল্ল্যাহ (কাজল) এর মেয়ের পেটে প্রচ- ব্যথা হয়। আর ঐ দিন রাতেই স্বজনরা তাকে বরুড়া ফেয়ার হসপিটালে ভর্তি করান এবং ১৩ই এপ্রিল ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব অপারেশন সম্পূর্ণ করেন। কিন্তু অপারেশনের পরও  দীর্ঘ সময় পেটে ব্যাথা ও জ্বর থাকায় ফেয়ার হসপিটালের নির্বাহী পরিচালক ডা. মো. ইকবাল হোসেনের শরণাপন্ন হলে তিনি ওষুধ লিখে দেন। কিন্তু  দুই মাস অসহনীয় ব্যথা সহ্য করতে না পেরে রোগী আবারও তার পেট আলট্রাসনোগ্রাফী পরীক্ষা পর পেটে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেন। পরবর্তী আরো পরীক্ষার মাধ্যমে   দেখা যায় যে তার পেটের ভেতর  তুলা ও গজ রয়েছে। রোগীর এই অবস্থা দেখে রোগীর ভাই অন্তর  পুনরায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এ পুনরায় অপারেশন করানোর ব্যবস্থা করেন। ১৮ই জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. আজিজ উল্লাহ ও ডা. মাহমুদ রোগীকে পুনরায় অপারেশন করান।
রোগীর পেট থেকে পুঁজ বের করেন। এমন ঘটনায় রোগীর ভাই  তানজিদ সাফি অন্তর  রোববার কুমিল্লা আদালতে দুই চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিবের  বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
এই বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, অপারেশনের দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন না। রোগী যেদিন হসপিটাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি গেছে সেদিনও তিনি হসপিটালে ছিলেন না। তবে তিনি রোগীকে ওষুধ দিয়েছেন। কিভাবে রোগীর অবস্থা না বুঝে ওষুধ দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. ইকবাল জানান, ওই সময় রোগীর মাসিকের সময় ছিলো। আমি মাসিক হবে মনে করে ওষুধ দিয়েছি। অপারেশন করিয়েছেন ডা. রাজিব।
আপনাদের দু’জনের সমন্বয় ছাড়া অপারেশন কিভাবে হলো এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি ডা. ইকবাল। অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার রাশেদ উজ-জামান রাজিব বলেন, ঘটনা যেহেতু চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে, তাই আমি বিস্তারিত জেনেই কথা বলবো।