স্টাফ রিপোর্টার ।। লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের কনকশ্রী গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার পরিবারের উপর হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় ইউপি মেম্বার তিতুসহ এজাহারভুক্ত ৮জন ও অজ্ঞাতনামা ৬/৭জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১জনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার সায়েদুল ইসলাম তিতু’র নেতৃত্বে অনুমান ১৪/১৫জন লোক গত ২৬ মার্চ সকাল অনুমান ১০টায় কনকশ্রী নতুন পুকুরপাড় বেলায়েতের ফার্মেসীর সামনে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফার ছেলে আ: করিম ও গোলাম কিবরিয়ার উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। তারা করিমের হাতে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল ও কিবরিয়ার গেঞ্জির পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধার ছোট ভাই বাবুল মিয়ার বাড়ী ঘরে ভাংচুর করে। বাবুল মিয়ার স্ত্রীকে মারধর করে তাদের ঘরে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ন ছিনিয়ে নেয়। আহতরা লাকসাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা বাদী হয়ে লালমাই থানায় ইউপি মেম্বার তিতুসহ এজাহারভুক্ত ৮জন ও অজ্ঞাতনামা ৬/৭জনের বিরুদ্ধে মামলা ( নং ০৫, তাং ৩১/৩/২০২০ইং) দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন-লালমাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার সায়েদুল ইসলাম তিতু (৩৫), কনকশ্রী গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে কাউছার (২২), দৌলত মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া (২০), মৃত মোস্তফার ছেলে মহিব উল্যাহ (২৭), মোসলিমুর রহমানের ছেলে রনি (৩০), ওহেদ আলীর ছেলে আবুল মিয়া (৫০), মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৪৫), মৃত বদিউল আলমের ছেলে গ্রাম সর্দার তিতু মিয়া (৫০)সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭জন।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় ৮জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত ১জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।