জহিরুল ইসলাম জহির ।। কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় ফয়েজ উল্যাহ নামের একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। গত ২৭ মে নাঙ্গলকোট হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা তার নমুনা সংগ্রহ করেন। ১জুন সোমবার তার করোনা পজেটিভ আসে। তার গ্রামের বাড়ী ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের কাঁছিয়াপুকুরিয়া গ্রামে হলেও তিনি ভুশ্চি উত্তর বাজারস্থ নিজের মালিকানাধীন ৩তলা ভবনে বসবাস করেন। বাজারের নিজস্ব চেম্বারে তিনি নিয়মিত রোগী দেখতেন।
সোমবার দুপুরে লালমাই থানাধীন ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ওই বাড়ীটি লকডাউন করেন। মঙ্গলবার সকালে তার পরিবারের ৬সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করার কথা রয়েছে।
এছাড়া উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সোন্ডা গ্রামে ছেলের মৃত্যুর ৪দিনের ব্যবধানে মায়ের মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় আতংক দেখা দিয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় ওই গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী মঞ্জুমা বেগম (৮০) মৃত্যুবরণ করেছেন। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীরা লাশের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এরআগে গত ২৮ মে মঞ্জুমা বেগমের ছেলে হাফেজ আ: মজিদ (৫৫) মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের পরিবারের দাবী, মঞ্জুমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে কিডনী রোগে ভোগছিলেন আর আবদুল মজিদের অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর সমস্যা ছিল।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোমবার বাদ আছর মৃত মঞ্জুমা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে এবং করোনা পজেটিভ ফয়েজ উল্যাহ’র বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে।
লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা: জয়াশীষ রায় বলেন, করোনা পজেটিভ ফয়েজ উল্যাহ নাঙ্গলকোটে কর্মরত হওয়ায় লালমাইয়ের পরিসংখ্যানে তার তথ্য যোগ হবে না। তবে মঙ্গলবার সকালে তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা লালমাইয়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা সংগ্রহ করবে।
উল্লেখ্য ১জুন পর্যন্ত লালমাইয়ে ২৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৮৮ টি রিপোর্ট পেয়েছি। এদের মধ্যে ৫ জন পজেটিভ। সুস্থ হয়েছেন ২জন। পজেটিভ হয়ে মৃত্যু ১জন, উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ২জন।