কুমিল্লার লালমাইয়ের ছেলে মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। বাহরাইনে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী Jawad Business Group তে ডিভিশনাল ফাইন্যান্সিয়াল একাউন্টেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ, এমবিএ শেষ করে বাহরাইনে গিয়ে স্বপ্নের সফল গ্লোবাল ক্যারিয়ার গড়েছেন।
মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের কাঁছিয়া পুকুরিয়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৮৮ সালের ৩১ জানুয়ারী জন্ম গ্রহন করেন। পিতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম একজন সমাজসেবক। মা গৃহিনী। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ২০০৪ সালে গৈয়ারভাঙ্গা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এসএসসি (লাকসাম-২ কেন্দ্রে প্রথম), ২০০৬ সালে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে একই বিভাগে এইচএসসি (জিপিএ-৫), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিষয়ে ২০১২ সালে বিবিএ ও ২০১৩ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
শিক্ষাক্রমের প্রত্যেকটিতেই ১ম শ্রেণিতে উর্ত্তীণ হওয়া সত্তেও তিনি দেশে চাকুরীর পিছনে না দৌড়ে স্বপ্নের গ্লোবাল ক্যারিয়ার গড়তে ২০১৪ সালের ১১ জুলাই ভিজিট ভিসায় বাহরাইনে পাড়ি জমান। সেখানে কয়েকটি কোম্পানীতে সিভি ড্রপ করেন। ইন্টাভিউতে উত্তীর্ণ হয়ে সম্মানজনক সেলারীসহ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা থাকায় তিনি একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর Jawad Business Group নামের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে ফাইন্যান্সিয়াল একাউন্টেন্ট পদে যোগদান করেন। কর্মদক্ষতা প্রমানে সফল হওয়ায় মাত্র এক বছরের মধ্যে কোম্পানী তাকে ডিভিশনাল ফাইন্যান্সিয়াল একাউন্টেন্ট পদে পদোন্নতি দেয়।
তিনি আরো উন্নত ক্যারিয়ার গড়তে চাকুরীর পাশাপাশি আইসিএমএবি’র ঢাকা শাখা থেকে কষ্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট প্রফেশনাল ডিগ্রীর অপারেশনাল লেবেলে (করসপন্ডেন্স) অধ্যায়ন করছেন। ডিগ্রীটি সম্পন্ন হলে আল্লাহর কৃপায় গ্লোবাল ক্যারিয়ারের শীর্ষে পৌঁছতে পারবেন বলে তিনি আশা পোষন করেন।
তার মতে, গ্লোবাল চাকুরী বাজারে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। এর কারন হলো বাংলাদেশ দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তি রপ্তানীতে ব্যর্থ।
দেশের শিক্ষিত বেকারদের গ্লোবাল ক্যারিয়ার গড়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি পাশ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের মত দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তি বিদেশে পাঠাতে পারে তাহলে রেমিট্যান্স বর্তমানের তুলনায় অনেকগুন বাড়ানো সম্ভব। এতে একদিকে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কমে আসবে অন্য দিকে প্রবাসে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে। তবে গ্লোবাল ক্যারিয়ার গড়তে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি নিজেকে ইংরেজী ও কম্পিউটারে পারদর্শী হতে হবে। তারপর অনলাইনে বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানীতে সিভি পাঠাতে হবে। এছাড়া ভিজিট ভিসায় যে কোন দেশে গিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীতে সরাসরি সিভি ড্রপ করা যায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বাংলাদেশ দূতাবাস গুলো বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানীগুলোকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও শিক্ষিতদের ওভারসীজ হায়ারিং এর ব্যবস্থা করেন।