বরুড়ায় হোগলাপাতা শিল্পের সাথে জড়িত ১৬শ’ পরিবার

293

বরুড়া উপজেলায় ১৬শ’পরিবার হোগলাপাতা শিল্পের সাথে জড়িত।  এ উপজেলার একটি গ্রামের নাম রাজপুর, ঘুমিয়ে নেই এ গ্রামের মানুষ। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার রাজপুর গ্রামে নেই কোন বেকার মানুষ।

পুরো গ্রামটি ঘুরে চোখে পড়েনি বেকার কোনো যুবক-যুবতীর চেহারা। কাজ করেই গ্রামটির আর্থিক চেহারা বদলে দিয়েছে।  কী সেই জাদুকরী প্রভাব যাতে গ্রামটির সবার কর্মসংস্থান ঘটেছে? যে জন্য গ্রামটি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী? এর মূল উপাদান হলো হোগলাপাতা।

গ্রামে ঢুকেই চোখে পড়ে প্রতিটি ঘরেই হোগলাপাতায় তৈরী হচ্ছে হরেক রকমের ডিইজানের পাটি। সারা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির প্রতিটি আঙিনা ও অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ডিজাইনের হোগলাপাটি। নারী-পুরুষ-শিশুসহ সব বয়সের মানুষই হোগলাপাতা দিয়ে বিভিন্ন সাইজের পাটি তৈরী করতে নিয়োজিত। প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজের ফাঁকে সময় অনুযায়ী পাটি তৈরী করছে।

এভাবে কাটছে রাজপুর গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের জীবনধারা। এখান থেকেই বিভিন্ন সাইজের পাটি তৈরী পণ্য চলে যায় ঢাকা, সিলেট, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, রংপুর, গাইবান্ধা, রাজশাহী, বরিশাল, পটুয়াখালী, দিনাজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এমনকি রাজাপুরের পাটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তাবলিক জামাত বিশ্ব এজতেমার প্রায় সকল হোগলাপাটি নেওয়া হয় রাজপুর থেকেই। বরুড়া সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রাজপুর গ্রামের অবস্থান। গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়বে হোগলা পাতার গাছ। জমিতে ধান-পাটের পরিবর্তে হোগলাগাছ। ধান-পাট আবাদের চেয়ে হোগলাগাছ আবাদ লাভজনক পাইট্যা পরিবারের জন্য। কারণ এ হোগলা পাতা থেকে তাদের সারা বছরের কর্মসংস্থান হয়। হোগলাপাতার প্রায় ৫’শ বিঘা জমি রয়েছে রাজপুর গ্রামে। এলাকার মানুষ এ গ্রামকে পাইট্যাপাড়ার নামে চেনে।