বরুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র বিরুদ্ধে ১৩ ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ

নীতিমালা অনুসরণ না করে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প

9
বরুড়া প্রতিনিধি:  বরুড়া উপজেলায় উপজেলা পরিষদের অনুমোদন ও উপজেলা পরিষদের নীতিমালা অনুসরণ না করে পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ১০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। উপজেলা পরিষদের সদস্যদের পাশ কাটিয়ে দরপত্র আহ্বান করায় গতকাল রোববার ৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার ১৩ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

বরুড়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে অন্তত ১৩ জন চেয়ারম্যান এই লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেন। গালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আলম বলেন, উপজেলা পরিষদের রাজস্বের টাকা যথাযথ ভাবে পরিপত্র অনুসারে বন্টন হয় নাই। আমরা এটা নিয়ে বারবার বসতে চেয়েছিলাম – বসাও হয় নি।  পরে দেখি- প্রকল্প গ্রহণ ও দরপত্রের নোটিশ জারি করা হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা আগেও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জানিয়েছিলাম।

আগানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিঠু জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও স্বেচ্ছাচারিতা করেছে। তারা উপজেলা পরিষদের সভায় এই প্রকল্প অনুমোদন করেন নি। এই টেন্ডার বাতিল করে নিয়মমত আহ্বান করার সুযোগ রয়েছে। আমরা এর আগেও জেলা প্রশাসক বরাবর মৌখিক ভাবে এই বিষয়ে জানিয়েছি- এবার লিখিত জানালাম।
ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদের অনুমোদন ও উপজেলা পরিষদের নীতিমালা অনুসরণ না করে নিজেদের খেয়ালখুশিমতো ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের প্রায় ১০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও। তাঁরা কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দরপত্র আহ্বান করেন, যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানেরা অবগত নন। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনওর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই দরপত্র হবে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানোর পর তড়িঘড়ি করে গত ২৪ আগস্ট পরিষদের সভা ডেকে অনুমোদনের চেষ্টা চালানো হয়। ওই খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানরা সভায় যোগ দেননি। এ অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম এর মুঠোফোনে বারবার কল দেয়া হলেও – তিনি রিসিভ করেন নি।
ইউএনও সাবরীনা আফরিন মুস্তাফা বলেন, প্রকল্প বাছাই কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রকৌশলী সদস্যসচিব। প্রকল্প বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বান করেন প্রকৌশলী। টেন্ডার প্রক্রিয়া কিংবা আহ্বান করার কোন কাজই আমি করি না- আমাকে এখানে কেন জড়ানো হচ্ছে!
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরুড়া উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয় যা বলবেন সেটাই আমার বক্তব্য। এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।