স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি পরীক্ষা-২০২৩ এর ফলাফলে ১৭টি উপজেলার মধ্যে পাসের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে তিতাস ও লালমাই উপজেলা। পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, পাসের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে তিতাস ও লালমাই উপজেলা। তিতাস উপজেলার ১৩টি বিদ্যালয় থেকে মোট ১ হাজার ৮শ ৮৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৩শ ২৪জন।
পাসের হার ৭০.১৬ শতাংশ। লালমাই উপজেলার ২২টি বিদ্যালয় থেকে মোট ১ হাজার ৪শ ৬৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৪৩জন। পাসের হার ৭১.০৫ শতাংশ।
পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা। এই উপজেলার ৬০টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৭ হাজার ৮শ ৬৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৭ হাজার ১শ ৮৩জন। পাসের হার ৯১.২৯ শতাংশ।
এছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৩০টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৩ হাজার ২শ ৫৪জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ৪শ ৩৬জন। পাসের হার ৭৪.৮৬ শতাংশ। বরুড়া উপজেলার ৪৫ টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৩ হাজার ৮শ ৩০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ৮শ ৮৪জন।
পাসের হার ৭৫.৩০ শতাংশ। মুরাদনগর উপজেলার ৫৪ টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৬ হাজার ১শ ৪২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪ হাজার ৮শ জন। পাসের হার ৭৮.১৫ শতাংশ। মনোহরগঞ্জ উপজেলার ২৭টি বিদ্যালয় থেকে মোট ২ হাজার ৫শ ১৪জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৯শ ৯৭জন। পাসের হার ৭৯.৪৪ শতাংশ।
লাকসাম উপজেলার ২৪ টি বিদ্যালয় থেকে মোট ২ হাজার ৬শ ৩৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ১শ ২৫জন। পাসের হার ৮০.৬৫ শতাংশ। দাউদকান্দি উপজেলার ৩২টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৪ হাজার ৭শ ৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩ হাজার ৮শ ২৩জন।
পাসের হার ৮১.২৯ শতাংশ। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৫৭টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৪ হাজার ৬শ ৫৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩ হাজার ৮শ ৪৪জন। পাসের হার ৮২.৫১ শতাংশ। দেবিদ্বার উপজেলার ৫১ টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৫ হাজার ৫শ ৪০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪ হাজার ৫শ ৯৯জন। পাসের হার ৮৩.০১ শতাংশ।
হোমনা উপজেলার ১৭ টি বিদ্যালয় থেকে মোট ১ হাজার ৮শ ১৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৫শ ১২জন। পাসের হার ৮৩.২৬ শতাংশ। চান্দিনা উপজেলার ৩৪টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৩ হাজার ২শ ২০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ৬শ ৯৫জন।
পাসের হার ৮৩.৭০ শতাংশ। নাঙ্গলকোট উপজেলার ৪৪ টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৪ হাজার ২শ ৩১জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩ হাজার ৫শ ৮৮জন। পাসের হার ৮৪.৮০ শতাংশ। বুড়িচং উপজেলার ৪০টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৩ হাজার ৩শ ৬৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ৯শ ৭জন।
পাসের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। মেঘনা উপজেলার ১০টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৮শ ১৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৭শ ২জন। পাসের হার ৮৬.৩৫ শতাংশ। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩৮টি বিদ্যালয় থেকে মোট ৩ হাজার ৮শ ৩২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩ হাজার ৩শ ৫৬জ