রিয়াজ উদ্দিন ।। লাইসেন্স ছাড়াই বিএসটিআই’র লোগো ব্যবহার করে নিম্মমানের পামওয়েল বোতলজাত করে সয়াবিন তৈল হিসেবে বাজারজাত করার অভিযোগ উঠেছে ইউনি প্রাইম কনজুমার ফুড’র বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সুজন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বিজরা বাজারস্থ জৈনিক আবুল খায়েরের মালিকানাধীন একটি ভবন (সাবেক লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল) ভাড়া নিয়ে ব্যবসার নামে সাধারণ মানুষকে নিয়মিত ঠকাচ্ছে।
একই পামওয়েল বোতলজাত করে আলম ভেজিটেবল ওয়েল, প্রাইম ও প্রিমিয়াম ফর্টিফাইড সয়াবিন তৈল হিসেবে বাজারজাত করছে। বোতলের গায়ে পৃথক তিনটি নাম থাকলেও চিপিতে শুধু প্রাইম লিখা রয়েছে। বোতলের গায়ে বিএসটিআই’র লোগোসহ বিডিএস-১৭৬৯ উল্লেখ রয়েছে। স্পেশাল প্রাইম সয়াবিন নামে কোম্পানীটি ১৬ লিটারের টিনও বাজারজাত করে। তবে ওই টিনে ১৪ লিটারের বেশি তৈল থাকে না বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
লাকসাম, লালমাই ও বরুড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারের সকল দোকানেই এই তৈল পাওয়া যায়। বিশেষ করে লাকসামের বিজরা বাজার, মুদাফ্ফরগঞ্জ বাজার, লালমাইয়ের হরিশ্চর বাজার, বাগমারা বাজারের প্রায় মুদি দোকানে এই তৈল বিক্রি করা হয়। দেশের খ্যাতনামা কোম্পানীর সয়াবিন তৈলকে পিছনে ফেলে নিজের অবৈধ এই তৈলকে বিক্রির শীর্ষে নিতে কোম্পানীটি পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য উচ্চ কমিশনের ব্যবস্থা করেছে। উন্নত ব্র্যান্ডের তৈল বিক্রি করলে যতটাকা কমিশন পাওয়া যায়, প্রাইম বিক্রি করলে তার দ্বিগুন কমিশন দেয়া হয়।
কমিশনের লোভে খুচরা ব্যবসায়ীরাও কাস্টমারদের কাছে উন্নত ব্র্যান্ডের তৈলের বিপক্ষে কথা বলে এই তৈল ব্রিক্রি করছেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য সহায়তার সময় এই অঞ্চলের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতাকে এই নি¤œমানের তৈল দিতে দেখা গেছে।
অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সুজনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।