মাওলানা আবুল বাশার: পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরা নিষিদ্ধ। যারা লুঙ্গি বা পাজামা টাখনুর নিচে পরবে তাদের ভয়াবহ পরিণতির কথা বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি স.। হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, নবি সা. বলেছেন, ‘ইজার লুঙ্গি/পাজামা বা পরিধেয় কাপড়ের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নিচে থাকবে; সে অংশ জাহান্নামে যাবে।’ বুখারি
হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন রাসুল সাঃ বলেছেন, ‘আল্লাহ কেয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির দিকে দৃষ্টি দেবেন না, যে ব্যক্তি অহংকার করে ইযার (লুঙ্গি/পাজামা) বা পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে (টাখনুর নিচে) পরেছে।’ বুখারি, মুসলিম।
হজরত আবু যর রা. বর্ণনা করেন রাসুল সাঃ বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে ফিরে তাকাবেন না। এমনকি তাদের গুনাহ থেকেও পবিত্র করবেন না। বরং তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। তিনি এ কথাটি তিনবার বলেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কারা? যাদের মুক্তির কোনো পথ নেই। তিনি বললেন, তারা হলো ১, যে ব্যক্তি পায়ের গোড়ালির নিচে কাপড় পরে। ২, যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম/শপথ করে ব্যাবসার পণ্য বিক্রয় করে। ৩, যে ব্যক্তি উপকার করার পর আবার খোঁটা দেয়।’ মুসলিম
মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেবেন
হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, নবি সা. বলেছেন অথবা আবুল কাসিম বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি আকর্ষণীয় জোড়া কাপড় পরতো ( অহংকার করে চেচিয়ে পরত)
আর চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে পথ অতিক্রম করতো; হঠাৎ আল্লাহ তাকে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেন। কেয়ামত পর্যন্ত সে এভাবে ধ্বসে যেতে থাকবে।’ বুখারি,
স্ত্রীলোকদের জন্য পায়ের সতরের সুবিধার্থে এক বিঘত কিংবা এক হাত পরিমাণ ঝুলিয়ে দেবার অবকাশ আছে; কেননা বাতাস বা অন্য কোনো কারণে সতর খোলার ভয় থাকলে অতিরিক্ত কাপড়ে তা বহুলাংশে রোধ হবে। তবে সীমালংঘন করা তাদের জন্যও বৈধ হবে না। যেমন বিয়ে-শাদীতে পরিহিত বস্ত্রের ক্ষেত্রে মেয়েদের সীমালংঘন করতে দেখা যায়। সেগুলো পরিমিত পরিমাণ থেকে কয়েক বিঘত এমনকি কয়েক মিটার লম্বা হয়। অনেক সময় পেছন থেকে তা বয়ে নিয়ে যেতেও দেখা যায়।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমীন
লেখক : ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, পরতি ফাযিল ডিগ্রি মাদরাসা।