স্টাফ রিপোর্টার: শাসনের নামে ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙ্গা লতিফিয়া এনামিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সহকারি মৌলভি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। ছাত্রীর মায়ের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে কারন দর্শানোর শোকজ নোটিশ দিয়েছেন মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট মাদরাসার সহকারি মৌলভি হাবিবুর রহমান ৮ম শ্রেণির পাঠদান কালে একজন ছাত্রীকে শারীরিক শাসনের সময় শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার মাসহ অভিভাবকদের জানান। পরে ছাত্রীর মা শিক্ষকের বিচার চেয়ে মোবাইলে মাদরাসার সুপার কে বিষয়টি জানান। প্রাথমিক তদন্ত শেষে সুপার ২৯ আগস্ট অভিযুক্ত সহকারি মৌলভি হাবিবুর রহমান কে কারন দর্শানোর শোকজ নোটিশ করেন। পরবর্তী ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করেছি। নোটিশে ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে শোকজে ছাত্রীর সাথে ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ উল্লেখ করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার একজন শিক্ষক ও স্থানীয় দু’জন গণ্যমান্য বলেন, সহকারি মৌলভি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগে একজন নারীর সাথে অনৈতিক সর্ম্পকের অভিযোগ উঠে। সেই সময়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে মাদরাসার সুপার অভিযুক্ত শিক্ষক থেকে মুচলেকা নিয়ে ক্ষমা করে দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ওই ছাত্রীর শরীরে হাত দিইনি। আমি বেত দিয়ে শাসন করেছি।