অনলাইন ডেস্ক ।। ‘অন্ধ হলেই হয় না কপাল মন্দ, অন্ধ হলেই হয় না সব পথ বন্ধ’ এমনটাই প্রমাণ করেছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা ।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বোর্ডের আওতাধীন ৬ জেলার ২১জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৯জনই কৃতকার্য হয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে কুমিল্লার ৫জন, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ৭জন, ফেনীর ৪জন, চাঁদপুর ও নোয়াখালীর ২জন করে এবং লক্ষীপুরের ১জন। এদের মধ্যে চাঁদপুর ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার একজন করে অকৃতকার্য হয়েছে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মো: শরিফুজ্জামান জিপিএ-৫ পেয়েছে। জেএসসিতেও সে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রামে। সে ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আসাদুজ্জামান ফখরুল ও আলেয়া বেগমের ছেলে। আসাদুজ্জামানের এক মেয়ে ও তিন ছেলে। কুমিল্লা শহরতলির দৌলতপুরের ছায়াবিতান এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে তিন ছেলেমেয়ে থাকে।
শরিফুজ্জামানের একমাত্র বোন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত। তিনিও শারীরিকভাবে অসুস্থ। আরেক ভাই শারীরিক সমস্যা নিয়ে কাজ করেন। আরেক ভাই কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বড় ভাই কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তিন ভাইবোনই চোখে কম দেখেন। এর মধ্যে শরিফুজ্জামানের অবস্থা খারাপ। তার ওপর শরিফুজ্জামানের গায়ের চামড়া সাদা ও নরম। রোদে থাকতে পারে না।